শিক্ষা আমাদের কার্যকারণ সম্পর্ককে দেখিয়ে দেয় শিক্ষা  আমাদেরকে সেন্টার দেখাতে পারেনা হয়তো, এভাবে কার্যকারণ নিয়ে খেলতে খেলতে চিন্তার সেন্টার আবিষ্কার হয়ে যাবে চিন্তা  এখনও তার সেন্টার আবিষ্কার করতে পারেনাই ঠিকঠাক মতো ফলে সে নানান জিনিষ সৃষ্টি করে চলছে সে, যে সমস্ত জিনিষ সৃষ্টি করে প্যারিফেরি গঠন করছে চিন্তা সেগুলোতেও অস্থির বোধ করছে অর্থাৎ চিন্তা যতক্ষণ না তার সেন্টার খুঁজে পাবে ততক্ষণ সে অস্থিরতা অনুভব করবে  

আমরা কি আমাদের চিন্তার সেন্টার আবিষ্কার করতে পেরেছি? মানুষ জন্ম এবং মৃত্যুকে ধ্রুব সত্য হিসাবে মেনে নিয়েছে, কিন্তু জন্ম এবং মৃত্যুকে সে একটা সেন্টারের সাথে সাথে সিগনিফাই করেছে জন্ম এবং মৃত্যুকে সে স্বতন্ত্র দুটো অস্তিত্বের সাথে এক করে দিয়েছে আরেকটু গভীরভাবে ভাবলে জন্মান্তরের মধ্যে দিয়ে সে জীবনকে বহমান রেখেছে এই বহমান জীবন ধারার থেকে বিচ্ছিন্ন করে মানুষ যখন চিন্তা করতে শিখেছে তখনই তার চিন্তার সেন্টার একটা জায়গায় খুঁটি গাড়লো পরিভ্রমণ থেমে গেলো তীর্থ সৃষ্টি হবার পর পরিভ্রমণ সীমাবদ্ধ থাকলো তীর্থের মধ্যে তীর্থ তাহলে একটা সেন্টার মানুষের চিন্তার সেন্টার হিসাবে তীর্থ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় 

মনে রাখতে হবে যে চিন্তার সেন্টার থেকেই এক প্রকার তরঙ্গ প্রক্ষেপিত হয় যা চিন্তার প্যারিফেরি হিসাবে হাজির হয় অর্থাৎ আপনার ভেতর থেকে চিন্তা একটা ফর্মকে ডেলিভারি দিচ্ছে কিন্তু আপনি সেই ফর্মটার জায়গায় অন্য একটা জিনিস বসিয়ে দিয়েছেন সেন্টার যখন প্যারিফেরিতে নিজেকে কনফার্ম করতে পারছে না তখনই চিহ্নিত জায়গাগুলোতে সে আক্রমন করছে নিজেকে বসাতে চাইছে এইভাবে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে